প্রতিনিধি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: তুচ্ছ ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক কর্মকর্তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন স্থানীয় এক বাসিন্দা। ওই কর্মকর্তার নাম মোহাম্মদ ইউনুছ ভূঞা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগে ডেপুটি রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী সেই কর্মকর্তা সূত্রাপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেন।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ১০ মে মোহাম্মদ ইউনুছ ভূঞাকে রাত আনুমানিক ১০টা ৪০ মিনিটে ছাদে ডেকে নিয়ে অভিযুক্ত তৌহিদ হুমকি ধামকি প্রদান করেন। পরবর্তীতে ২৬ মে তৌহিদ মোহাম্মদ ইউনুছ ভূঞা এর বাসার পানির লাইন ভাঙচুর করে ক্ষতিগ্রস্ত করেন। ইউনুছ ভূঞা ২৯ মে সূত্রাপুর থানায় তৌহিদ এর বিরুদ্ধে জিডি করে। থানার পরামর্শে মোহাম্মদ ইউনুছ ভূঞা ক্ষতিগ্রস্ত পানির পাইপ মেরামত করে। পরবর্তীতে ১৪ জুন একই পানির পাইপ লাইন পুনরায় ভাঙচুর করে তৌহিদ। এতে ইউনুছ চরম দুর্ভোগে পড়েন।
জবি কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইউনুছ ভূঞার অভিযোগ, তৌহিদ এলাকায় চুরি, ছিনতাই ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে বেড়ায়। গত বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরে লক্ষ্ণীবাজারের বাড়ীটির পানির মটর ও পাম্প তৌহিদ চুরি করে একই মটর ও পাম্প ক্রয় দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা ফ্ল্যাট মালিকদের থেকে জোর পূর্বক আদায় করেন। তৌহিদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগি অধ্যাপক আব্দুল বাতেনের টাকাও আত্মসাৎ করেন। সে ফ্ল্যাট মালিকদের থেকে বিভিন্ন কলা কৌশলে ও প্রতারণা মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। বর্তমানে ঐ বাড়িতে পানির মটর ও পাম্প চালনার জন্য একটি সাব বৈদ্যুতিক মিটার চালানো হয়। এই তো সাব মিটারের টাকা কালেকশন করে তৌহিদ আত্মসাৎ করছে। এ বিষয়ে যে কথা বলে তার সাথে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায়।
সাধারণ ডায়েরিতে বলা হয়েছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ইউনুছ ভূঞা সূত্রাপুরের ২৪/৪ নন্দলাল দত্ত লেনের ষষ্ঠ তলার একটি ফ্ল্যাট ক্রয় করে বসবাস করছে। কিন্তু বর্ণিত ঠিকানার বাড়ির ষষ্ঠ তলার ফ্ল্যাট মালিকদের একজন শরীক মো.শাহাদাৎ হোসেন তৌহিদ, পিতা মৃত মো. মনির হোসেন বিগত ১০ মে রাত আনুমানিক ১০ ঘটিকার সময় ভুক্তভোগী ইউনুছ ভূঞাকে ফ্ল্যাট ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বলেন। অন্যথায় জীবন নাশের হুমকি প্রদান দেয়। এরপর ২৬ মে শাহাদাৎ হোসেন তৌহিদ ইউনুছ ভূঞার বাসার পানির সংযোগ কেটে দিয়ে আবারও তাকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। এমতাবস্থায় ইউনুছ ভূঞার স্বাভাবিক জীবনযাপন হুমকির সম্মুখীন বলে সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে হুমকির বিষয়টি অস্বীকার করে অভিযুক্ত তৌহিদ বলেন, আমি কারোর পানির লাইন কাটিনি। আমি ডেভেলপারের লাইন কেটেছি। তারা আমার টাকা দেয়নি। আমি তাদের কাছে টাকা পাই।
এদিকে জাসা ডেভেলপারের কর্মকর্তা জাবেদ চৌধুরী হীরা বলেন, আমাদের কাছে ওই বাড়ির কেউ কোনো টাকা পাবেনা। তিনি অযথাই এসব কর্মকান্ড করছেন।
জিডির দায়িত্বে থাকা সূত্রাপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর পীজুস রায় জানান, এটি তদন্তাধীন। অভিযোগ প্রমানিত হলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো।